আজ ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প: ৭০ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন


অনলাইন ডেস্কঃ জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ ৭০ দশমিক ৩৫ শতাংশ সম্পন্ন করতে পেরেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (চউক)। এজন্য আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সম্মেলন কক্ষে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় এসব কথা জানান সিডিএর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

সভায় সিডিএর পক্ষ থেকে তিনি আরো জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে বর্তমানে ১৬০ বর্গকিলোমিটারের কাজ চলছে। এছাড়া ১২০ কি. মি. রিটেইনিং ওয়াল, ৩৬টি ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বর্ষা সন্নিকটে। আতঙ্ক বাড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদপুরসহ নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে।

আরও পড়ুন চট্টগ্রামের সড়ক নিরাপদ করতে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান মেয়রের

তিনি বলেন, খালের দুইপাশে গাইডওয়াল দিলে কাজ শেষ নয়। মাটি অপসারণ করতে হবে। কিছু খালে কী পরিমাণ মাটি উত্তোলন করেছে তা জানতে হবে। পানি উঠবে, কেউ বলতে পারবে না পানি উঠবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক পরিবর্তন আসছে। দুবাই শহর, নিউইয়র্ক শহরে পানি উঠছে। আমাদের খাল গভীর করতে হবে। সেই মাটি উত্তোলন করা গেলে জনগণ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

মেয়র বলেন, পাহাড়ের মাটি এসে নালা ভরছে। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। এর জন্য সব সংস্থা একযোগে কাজ করতে হবে। লালখান বাজারের পাহাড়ের মাটি জিইসি পর্যন্ত চলে গেছে। চসিককে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিলট্রেপ করতে হবে। নয়তো আমরা সন্দিহান।

খাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩৬টি খালের কাজ চলছে। বাকি ২১টি খালের অবস্থা খারাপ। কোনোটা ভরাট হয়ে গেছে। কোনোটা বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে আমরা পরিকল্পনা করছি।’

যে কোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় সমন্বয় সভায় আলোচনা করা উচিত উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার জায়গা নান্দনিক। উঁচু দেয়ালের জন্য নান্দনিক ভিউ দেখা যাচ্ছে না। বে টার্মিনালে উঁচু দেয়াল দেওয়া হলে পতেঙ্গা অন্ধকার কুটুরিতে পরিণত হবে। প্রকৃতিকে পরিবর্তন করা যাবে না। পরিবর্তন করতে গেলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে।’

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর